Sunday, March 31, 2013

কম্পিউটার রক্ষার ৫ কবচ

অনেক কঠিন কাজই সহজ করে দিচ্ছে কম্পিউটার। কিন্তু ভাইরাস, স্পাইঅয়্যার, হ্যাকার, স্প্যামারদের যন্ত্রণায় কম্পিউটার ব্যবহারই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব যন্ত্রণা থেকেও আছে সহজ মুক্তির উপায়! 
সেফটি স্ক্যানার
কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য মাইক্রোসফটের 'সেফটি স্ক্যানার' টুলটি খুবই কার্যকর। 'সেফটি স্ক্যানার' ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং ম্যালিসিয়াসের মতো ক্ষতিকর প্রোগাম মুছে ফেলা যায়। প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাসের সঙ্গে এর কিছু পার্থক্য আছে। অ্যান্টিভাইরাসগুলো শুধু পিসি স্ক্যান করে, আর সেফটি স্ক্যানার পিসি স্ক্যানের পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেমের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
টুলটি প্রথমে www.microsoft.com/security/scanner/en-us/default.aspx সাইট থেকে ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ইনস্টল ও চালু করতে হবে। এরপর কোন পদ্ধতিতে স্ক্যান করতে চান তা নির্বাচন করে দিলেই হলো।


কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দ্রুত স্ক্যান করার জন্য Quick Scan-এ ক্লিক করতে হবে। ফাইল, মেমোরি এবং রেজিস্ট্রি স্ক্যান করার জন্য ঋঁষষ ঝপধহ এবং নির্বাচিত ফোল্ডার বা ড্রাইভ স্ক্যান করার জন্য ক্লিক করতে হবে Custom Scan-এ। স্ক্যান শেষ হলে কোন কোন ফাইলে ত্রুটি ছিল এবং ফাইলগুলো ত্রুটিমুক্ত করতে কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা নিচে দেখা যাবে।
একবার ইনস্টল করলে 'সেফটি স্ক্যানার' ১০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। নতুনভাবে ব্যবহার করার জন্য একই ওয়েবসাইট থেকে আপডেটেড স্ক্যানারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। তাই ইন্টারনেট সংযোগ নেই এমন কম্পিউটার পেনড্রাইভে থাকা 'সেফটি স্ক্যানার'-এর মাধ্যমে স্ক্যান করা যাবে।


কে-৯
ওয়েবের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে কন্টেন্ট ফিল্টারিং খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে ফ্রি সফটওয়্যার 'ব্লুকোট কে-৯' বেশ কার্যকর।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। আবার ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো অফিসে কাজের ক্ষতি করে। এসব সাইট বন্ধ রাখতে 'ব্লুকোট কে-৯' ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যদি জরুরি কোনো সাইট 'ব্লক' হয়ে যায়, তাহলে অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড দিয়ে তা খোলা যাবে। 'ব্লুকোট কে-৯' দিয়ে সার্ভিস বেস ফিল্টারিং, ডায়নামিক রিয়েল টাইম রেটিং, অটোমেটিক আপডেট, কার্যকরী ক্যাশিং-এর মতো আরো কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
www1.k9webprotection.com/get-k9- Bin-protection-free ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে। এরপর et K9 Free for your home ক্লিক করে নাম, ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে Request Licence লেখা বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর মেইলে একটি ডাউনলোড লিংক এবং পাসওয়ার্ড আসবে। লিংকে ক্লিক করলে কম্পিউটারে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড হবে। এরপর পাসওয়ার্ড দিয়ে এটি কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টলেশনের পর একটি অ্যাডমিন প্যানেল আসবে। সেখানে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি মনে রাখুন, কারণ ফিল্টার কন্টেন্টের যেকোনো পরিবর্তন করতে বা সফটওয়্যারটি আনইনস্টল করতে এ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের খুবই কম জায়গা দখল করে।

ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস
কম্পিউটার নিরাপদ রাখতে অধিকাংশ ব্যবহারকারীই অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন। বাজারে এখন নানা ব্র্যান্ডের অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়। যাঁরা কেনার ঝামেলায় যেতে চান না তাঁরা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটে বিনা মূল্যে পাওয়া যায় এমন অ্যান্টিভাইরাসের মধ্যে আভাস্ট বেশ এগিয়ে। পিসি বুটআপের সময় স্ক্যান করার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এটি স্পাইওয়্যার এবং রুটকিটও ধরতে পারে।
আভাস্ট এন্টিভাইরাসের ভালো দিকগুলো হলো_এতে বিল্টইন অ্যান্টিস্পাইওয়্যার, বিল্টইন অ্যান্টিরুটকিট, অটোমেটিক আপডেট, ওয়েব শিল্ড, নেটওয়ার্ক শিল্ড, অ্যান্টিভাইরাস কার্নেল, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং ৬৪ বিট উইন্ডোজ সাপোর্ট রয়েছে।
এটি ডাউনলোড করার জন্য www.avast.com-এ গিয়ে free download ট্যাবে যেতে হবে। এরপর avast! HOME EDITION ডাউনলোড অপশন পাওয়া যাবে। এবার সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন। পিসিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে অটোমেটিক এটি আপডেট হবে। আর ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে www.avast.com/eng/updates.html থেকে আপডেট ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
আভাস্টের ওয়েবসাইট থেকে এর হোম সংস্করণের এক বছরের ফ্রি লাইসেন্স কি পাওয়া যায়। এক বছরের ফ্রি লাইসেন্স কির জন্যwww.avast.com/eng/home-registration.php থেকে avast! Home নির্বাচন করে রেজিস্ট্রেশন করুন। তাহলে আপনার মেইলে লাইসেন্স কি যাবে।
এবার সিস্টেম ট্রের আভাস্ট আইকনে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে About avast!-এ ক্লিক করুন। এবার খরপবহংব শবু বাটনে ক্লিক করে লাইসেন্স কি লিখে বাটনে ক্লিক করুন।
ফায়ারওয়াল:
কমোডো ফায়ারওয়াল মূলত ইন্টারনেটে নিরাপত্তার একটি ফ্রি টুল। ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রোগ্রাম কম্পিউটারে প্রবেশ রোধ করতে এটি বেশ কার্যকর। এটি ইন্টারনেটের ইনকামিং ও আউটগোইং ট্রাফিক ফিল্টার করে হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কম্পিউটারের সব ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার মুছে ফেলে।
এ ছাড়া এটি কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা প্রোগ্রামও মনিটর করে। কোনো প্রোগ্রামের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড ধরা পড়লে সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কমান্ড এঙ্ক্মকউশনও প্রতিরোধ করে। সফটওয়্যারটির সাইজ ছোট হওয়ায় এটি কম্পিউটার ধীরগতির করে না। এটি অনলাইন এবং ডেস্কটপ_দুই ধরনের ফায়ারওয়ালের ক্ষেত্রেই কাজ করে। প্রথমে www.personalfirewall.comodo.com/download-firewall.html ঠিকানা থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
সফটওয়্যারটি ইনস্টল শেষে কম্পিউটার রিস্টার্ট করে প্রথমেই নেটওয়ার্ক ডিফেন্স ট্রেইনিং মোডে সেট করুন এবং প্রো-অ্যাক্টিভ ডিফেন্স ডিজেবল করে দিন। এরপর বিরক্তিকর পপ আপ বন্ধ করার জন্য Miscellaneous U�vei Settings Menu থেকে Show the balloon messages অপশনটি বন্ধ করে দিন। সফটওয়্যারটি সেট আপ করার পর প্রথমবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে ঘবw Network Found সংক্রান্ত একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে Dont detect হবw networks automatically অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

সার্চ অ্যান্ড ডেসট্রয়:
ভাইরাস ছাড়াও অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো ব্যবহারকারীর পছন্দের জিনিস সম্পর্কে গোপনে জেনে নিয়ে তাকে সে-সংক্রান্ত ই-মেইল বিজ্ঞাপন পাঠায়। এগুলো স্পাইওয়্যার নামে পরিচিত। অনেক স্পাইওয়্যার বিপুল পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে কম্পিউটারকে ধীরগতির করে। পপ আপ অ্যাড, অযৌক্তিক এরর মেসেজসহ এ ধরনের বিভিন্ন স্পাইওয়্যার রোধে অনন্য সফটওয়্যার হলো 'স্পাইবট সার্চ অ্যান্ড ডেসট্রয়'। সফটওয়্যারটি www.safer-networking.org/en/mirrors/index.html লিংক থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।

No comments:

Post a Comment